লস বিহীন ১০ টি ব্যবসার আইডিয়া। 10 Business Idea Without Loss

ব্যবসা  মানেই ঝুঁকি পূর্ণ একথা চির সত্য এ আমরা কমবেশি সকলেই জানি। তবু আমাদের মনে আশা জাগে যে ব্যবসা  করবো অথচ লস হবে না এমন কিছু বেবসা করলে ভালো হতো।হ্যা  অবশ্যই আছে এরম ব্যবসা যে ব্যবসায় লস এর ভাগ অনেক কম এবং কিছু বেবসা আছে যা লস একদমই নেই বললেই চলে। আজ আমি আপনাদের এমন কিছু ব্যবসার সন্ধান  দিতে চলেছি যা আপনাদেরব উপকারে আসবে। আসুন দেখে নেয়া যাক সেই বেবসা গুলি -



                        লস না করে শুধু আয়ের বেবসা গুলি -


১) ডিলারশিপ এজেন্ট ব্যবসা  -  

আমরা ডিলারশিপ এজেন্ট ব্যবসা বলতে যেটা বুঝি একটা নির্দিষ্ট কোম্পানটির হয়ে কাজ করা এলাকা ভিত্তিক। আবার আরেকরকম ভাবে বলা যায় যদি কোনো বেক্তি কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানীর হয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় কাজ করেন সেই এলাকার সমস্ত বিক্রয় ও দায়িত্ব পালন  করতে হবে। যে সব ব্যক্তি এই কাজ করে থাকে তাকে আমরা ডিলার বলে থাকি। 

 ডিলারশিপ এজেন্ট ব্যবসায় লস কম হয়ে থাকে। কারণ এইসব ব্যবসায় আপনার পণ্য নষ্ট বা পণ্যের মেয়াদ শেষ  হলে সমস্ত দায়ভার কোম্পানি বহন করবে। সবথেকে বড়ো  সুবিধা হলো এই ব্যবসায় আপনি যেই পণ্য নিয়ে কাজ করবেন  সেই পণ্যের বিজ্ঞাপন আপনাকে পয়সা খরচ করে দিতে হবে না। সমস্ত বিজ্ঞাপন কোম্পানি দেবে। আপনি শুধু রোজগার করবেন। 

হ্যা , আমরা যদি এই ব্যবসা শুরু করতে চাই তাহলে আমাদের প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে  ২ টি বিষয়ে  যেগুলি হলো -

* আমরা কোন পণ্য নিয়ে বেবসা করবো। 

* আমরা যেই পণ্য নিয়ে বেবসা করবো অথবা যেই কোম্পানি  নিয়ে ব্যবসা করতে চলেছি তার বর্তমান বাজারের পরিস্তিতি কেমন। 


২) স্টক মালের ব্যবসা - 

আমরা স্টক মালের বেবসা বলতে যেটা বুঝি কোনো মাল স্টক করে রাখা। চলতি ভাষায় কোনো যায়গায় বা গোডাউন এ মাল মজুত করে রাখা।হ্যা, সেটা পণ্য বা কাঁচা মাল যা কিছু হতে পারে। এই ব্যবসার ক্ষেত্রেও আমাদের ২টা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, যেগুলি হলো -

*  সিজিওন্যাল ব্যবসা। 

*  নন সিজিওন্যাল  ব্যবসা। 

আপনাদের বলে রাখি, যে সমস্ত ব্যক্তি এই ব্যবসা  করে  তাদের বেশিরভাগই নন সিজিওন্যাল  ব্যবসা করে থাকেন। তারা এই পণ্য গোডাউনে মজুত করে থাকে কম দামে কিনে , এবং তৎক্ষন মজুত রাখে যতোক্ষন না ওই পণ্যের দাম বাড়ছে। সেবী পণ্যের দাম বাড়লে তৎক্ষণাৎ পণ্য টি বাজারে ছেড়ে দেয় অত্যাধিক লাভে। 


৩) পরিষ্কার করার পরিষেবা -

এই ব্যবসা  সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই।বলে রাখি বর্তমান সময়ে বিভিন্ন অফিসিয়াল যায়গায়  অথবা বিভিন্ন প্রতিষ্টান এ পরিষ্কার করার জন্য ক্লিনিং সার্ভিস বয় বুক করে থাকেন। কলকাতা শহরের বুকে অনেক ক্লিনিং কোম্পানি ও আছে। আস্তে আস্তে তা ছোট ছোট শহরে ও বিস্তার লাভ করে চলেছে।তবে এ বেবসা শুরু করার জন্য কিছু জিনিস দরকার তা হলো -

*  আপনাকে বেশ কিছু দক্ষ শ্রমিক রাখতে হবে। 

*  পরিষ্কার পরিষেবা দেওয়ার জন্য সমস্ত সরঞ্জাম। 

*  ব্যবসা প্রচারের জন্য ভালো মাপের এডভারটিসের। 

*  পরিষ্কার পরিষেবা দেওয়ার জন্য আপনাকে একটি এয়াপ বানাতে হবে। 


৪) গার্ডেন তৈরির ব্যবসা -

যতদিন যাচ্ছে মানুষের সৌখিনতা আরো বেড়ে চলেছে। মানুষের সৌখিনতার মধ্যে অন্যতম দুর্বল জায়গা একটা ভালো ফুলের গার্ডেন। এই ব্যবসায় একদমই লস নেই। ভিন্ন ভিন্ন বাগানের ডিসাইন করে আপনি পরিষেবা দিতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে অথবা অফলিনের মাধ্যমে কাস্টমার দেড় মধ্যে। কাস্টমাররা  আপনার তৈরী করা ডিসাইন পছন্দ করলে আপনি অর্ডার পাবেন। 

মানুষ বাড়ির সামনে। ছাদে, বেলকনি তে ইত্যাদি জায়গায় ছোট ছোট বাগান করে থাকে। এই ব্যবসা ঠিক মতো এডভারটিস করতে পারলে ভালো উপার্জন হইতে পারে।  


৫) কোস্ম্যাটিক্স ব্যবসা ও স্টেশনারি ব্যবসা -

বর্তমান সময়ে  মানুষের অনেক জিনিসপত্রের চাহিদা বেড়েছে। তাই মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র একটি দোকানে পাওয়া গেলে খুবই ভালোই হয়। একটি দোকানে - বই , খাতা ,পেন্সিল ,কলম,  খেলনা , শিক্ষামূলক জিনিস , মেয়েদের জুয়েলারি ,বাচ্চাদের খেলনা, পড়াশোনার  সমস্ত সরঞ্জাম ,অফিসের ইত্যাদি বিক্রি করতে পারলে খুবই লাভরভ সম্মুখীন হয়ে যায়। তবে এই বেবসা খোলার জন্য কিছু নিয়ম মানতে হবে যেগুলি -

* ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা টা ভালো করে দেখে নিতে হবে। দোকান টি  স্কুল ,কলেজ বা বিদ্যালয়ের আশেপাশে  হলে খুবই ভালো হয়। 

* এছাড়াও দেখবেন আপনার দোকানের আশেপাশে যেন এই ধরণের দোকান না থাকে। 

* আশেপাশে যদি এইধরণের দোকান থেকে থাকে, তাহলে ওই দোকানের যে সমস্ত জিনিস আছে তা  তো রাখবেন ই  সাথে সাথে বেশি কিছু পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যেমন - রিচার্জের ব্যবসা  ও অনলাইন এ টাকা ট্রান্সফার ইত্যাদি। 
এ ব্যবসায় লস হওয়ার চান্স খুব কম। কারণ জিনিসপত্র নষ্ট হয় না। সেজন্য ঝুঁকি নেই বললেই চলে। 


৬) ফটোগ্ৰাফি ব্যবসা -

আমরা সকলেই কমবেশি ছবি তুলতে ভালোবাসি। যদি সেইসব ছবি হয় ডি স লার অথবা ভালো মোবাইল এ তাহলে তো বালাই নেই। আপনি ভালো কোনো ছবি তুলে অনলাইন ছবি বিক্রি ও করতে পারেন।

এছাড়াও এখনকার দিন এ যে কোনো অনুষ্টানে যেমন বিয়েবাড়ি, জন্মদিন বা যে কোনো সোশ্যাল প্রোগ্রামের অনুষ্টান এ স্মৃতি ক্যামেরা বন্দি করে রাখতে চায়  এই সুযোগ টাকেই আপনি কাজে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার একটা ভালো ক্যামেরা অথবা ডিএস লার থাকলেই ভালো উপার্জন করতে পারবেন। 

৭)ওষুদের ব্যবসা অর্থাৎ ফার্মাসি ব্যবসা -

বর্তমান সময়ে  ভেজাল যুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য মানুষের রোগ জেলার শেষ নেই । এছাড়া মানুষ আগেকার দিনে অসুস্ত হলে কবিরাজ রা ন্যাচারাল নিয়ম এ সুস্থ করে তুলতো বর্তমান সময়ে মানুষ অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে ,সুস্থ হওয়ার জন্য ওষুধ অবশ্যই প্রয়োজনীয়। মূল কথা মানুষ এখন ওষুদের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করে আছে। সুতারং এই বেবসা টি করতে পারেন। এই ব্যবসায় লস হওয়ার চান্স খুবই কম। এই ব্যবসা  টি করতে হলে কিছু জিনিস প্রয়োজন ,সেগুলি হলো-

* এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে ভালো জায়গা পছন্দ করতে হবে।হাসপাতাল এর পশে হলে খুব ভালো হয়। 

* এই ব্যবসা  করার জন্য আপনার ড্রাগ লাইসেন্স চাই। 


৮) লন্ড্রি ব্যবসা -

এই ব্যবসা করতে হোলে আপনাকে ভালো জায়গা অর্থাৎ আবাসিক জায়গা বাঁচতে হবে। এক্ষেত্রে  বেশিরভাগ  গ্রাহক আবাসিক এলাকার হয়ে থাকেন।  এই ব্যবসায় লস হবে না যদি আপনার ব্যবসা টি আবাসিক এলাকায় হয়। 


৯) মোবাইল রিচার্জ , ব্যাংকিং, ও প্রিন্টার ব্যবসা -

বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটি  খুব জনপ্রিয়।এই ব্যবসা খোলার আগে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে ভালো জায়গা যেমন স্কুল ,কলেজ,অফিস ,বিশ্ব বিদ্যালয় অথবা আবাসিক এলাকা কেন্দ্রিক যেন হয়। 

 এই ব্যবসা করতে হলে বেশি মিলধনের প্রয়োজন হয় না কিন্তু ওভাল অর্থের মুখ দেখা যায়। এই ব্যবসায় লস হওয়ার এলকদমী চান্স নাই বললেই চলে। 

১০) ফুড পরিষেবা ব্যবসা -

আমাদের মধ্যে অনেকেই ভালো রান্না করতে ভালোবাসি। এই সুযোগ টা  কে আপনি কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে আপনি ছোট খাটো অর্ডার নিয়ে সামনা সামনি  কোনো অফিস বা কলেজের স্টুডেন্ট দেড়  সাপ্লাই দিতে পারেন। 

পরে আপনার বেবসা বাড়লে আপনি অনলাইন খাবার ডেইলিভেরি সংস্থা গুলির সাথে  যোগাযোগ করতে পারেন। পরে পরে অনুষ্টান বাড়ি গুলাও অর্ডার ধরতে পারেন। এই ব্যবসায় ক্ষতির চান্স একদমই নেই বললে হবে। কারণ আপনি আগে অর্ডার নেবেন পরে খাবার ডেইলিভারি করবেন।   ধন্যবাদ। 




 TAGG- business
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post