থাইরয়েড রোগ থেকে সারাজীবনের মত মুক্তি পাওয়ার উপায় জেনে নিন।(relief of thyroid disease)

থাইরয়েড কি - থাইরয়েড একটি গ্রন্থি যা গলার নিচের দিকে থাকে। বর্তমানে ভারত এ আনুমানিক ৪২ কোটি মানুষের এই রোগ ধরা পড়েছে। এটি একটি হরমোন ঘটিত রোগ। মূলত বেশিরভাগ মহিলারাই আয়রোগে ভুক্তভোগী।বেশিরভাগ মানুষ ই এই রোগ এ আক্রান্ত হলে বুঝতে পারে না লক্ষন গুলি। যথাযথ সময়ে এই রজার চিকিৎসা না হলে ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখা যায়। এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই এই রজার লক্ষন গুলি জেনে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে। 



থাইরয়েড হলে কি করবেন ? আমরা আজ সেই সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। ভারতবর্ষে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত তাই এই নিয়ে অনেকের মনে কৌতূহলী রয়েছে। সেইজন্য আমরা আজ থাইরয়েড নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। 

থাইরয়েড রোগ কি ?

থাইরয়েড একটি গ্রন্থি যা গলার নিচে অবস্থান করে।থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের বাকি অংশকে ঠিকভাবে কার্যকর রাখতে সাহায্য করে।এই গ্রন্থি আয়োডিন বানিয়ে সাহায্য করে জখন প্রয়োজেনের তুলনায় আয়োডিন বেশি বানিয়ে ফেলে তখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। থাইরোপিদ বৃদ্ধি পেলে পুরো শরীরেই তার প্রভাব ফেলে। থাইরয়েড সমস্ত বয়স এই হতে পারে। 

থাইরয়েড রোগের লক্ষন    

থাইরয়েড রজার অনেক লক্ষন আছে যা দেখা দিলে বুঝতে হবে থাইরয়েড এ আক্রান্ত।  এই রোগ সম্পর্কে অনেকের ধারণা না থাকায় লক্ষন গুলি দেখা দিলে বুঝতে পারে না যে থাইরয়েড এ আক্রান্ত। আসুন দেখে নেওয়া যাক লক্ষন গুলি -

১) থাইরয়েড রোগ হলে ওজন বৃদ্ধি হবে। 

২) মহিলাদের ক্ষেত্রে থাইরয়েড হলে যৌন উত্তেজনা কমে যায়  যা ক্রমে শেষ হয়ে যায়। 

৩) থাইরয়েড এ আক্রান্ত হলে ত্বক ,হাত পা শুস্ক  হয়ে যায়। 

৪) থাইরয়েড আক্রান্ত রুগী অল্পতেই ক্লান্তি বোধ করে  .

৫) থাইরয়েড এ আক্রান্ত মহিলাদের পিরিয়ড এর অসুবিধা দেখা যায়। 

৬)থাইরয়েড আক্রান্ত হলে অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায়। 

৭) থাইরয়েড এর ফলে মাংস পেশী  ও জয়েন্ট দুর্বল হয়ে পরে ভি.

৮)থাইরয়েড এ আক্রান্ত হলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। 

৯)বেশিরভাগ থাইরয়েড রুগী অবসাদে ভুগে। 

১০) হাইরোড এ আক্রান্ত রুগী দের  অল্পতেই মনোযোগ চলে যায় ,সহজেই সবকিছু ভুলে যাওয়া। 

থাইরয়েড রোগের কারণ 

একজন মানুষ বিভিন্ন কারণে থাইরয়েড এ আক্রান্ত হতে পারে।  যেমন -

১) জীন গত  কারণে থাইরয়েড হতে পারে। 

২)৬০ বছরের উর্ধে থাইরয়েড হতে পারে । 

৩)রেডিও আয়োডিন খাৰ জন্য থাইরয়েড হয়ে থাকে। 

৪)প্রচুর পরিমানে ওষুধ খেলে তার প্রতিক্রিয়া থেকে থাইরয়েড হয়ে থাকে। 

৫)শরীর আয়োডিন না থাকলে থাইরয়েড হয়ে থাকে। 

থাইরয়েড রোগ নিনির্ণয় কি ভাবে করবেন ?

ডাক্তারের  পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে থাইরয়েড নির্ণয় করা সম্ভব। পরীক্ষা গুলি-

রক্ত পরীক্ষা করে  থাইরয়েড নির্ণয় করা যায়। 

* থাইরয়েড স্ক্যান রেডিও আয়োডিন টেস্ট এর মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। 

থাইরয়েড থেকে বাঁচার উপায় -

থাইরয়েড রোগ থেকে বাঁচতে হলে আয়োডিন ও খণিজ জাতীয় খাবার খাবেন। যে সমস্ত আয়োডিন ও খনিজ খবর খাবেন সেইগুলি হলো  দুধ. পনির, ও দুগ্দ্ধ জাতীয় খাবার খাবেন।  এছাড়াও বাঁচার জন্য যেসব খাদ্য  গুলি প্রয়য়োজন  সেগুলি হলো -

ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য 

থাইরয়েড রোগীদের ভিটামিন এ বাড়ানো উচিত শরীর এ। এতে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। যেমন সমস্ত সবুজ শাকসবজি তে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। 

ধনেপাতা 

থাইরয়েড রোগীদের ক্ষেত্রে ধনেপাতা অনেক কার্যকরী। ধোনে পাঠান চাটনি অথবা খাবার এর সাথে বেশি পরিমানে দিয়ে খেলে ভালো হয়ে ওঠা সম্ভব।

লাউ  

থাইরয়েড রুগী দের লাউ এর জুস খালি  পেটে খাওয়া উচিৎ ।  লাউ অনেক কার্যকরী। 

গোলমরিচ 

থাইরয়েড এর জন্য গোলমরিচের উপাদান ভীষণ ভাবে কার্যকরী। রান্নায় গোলমরিচ ব্যবহার  করতে হবে। 

ডিম 

ডিম্ থাইরয়েড নিয়ন্ত্রেণে এ আন্তে সাহায্য করে। থাইরয়েড রোগীদের খাওয়া খুব প্রয়োজনীয়। 

 নারিকেলের জল 

নারকেলের জল থাইরয়েড রুগীদের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রোটিন না সম্ভব হলেও ২ দিন ছাড়া একটি করে খেলে ও নিয়ন্ত্রণেআসবে। 

শরীর চর্চা 

থাইরয়েড রুগীদের জন্য  অন্তত ১ঘন্টা দিনে শরীর চর্চা  করা জরুরি। 

ভিটামিন বি 

থাইরয়েড রুগী দেড় জন্য ভিটাবিন বি  জাতীয় খাদ্য খুব কার্যকরী। সেজন্য ভিটাবিন বি যুক্ত খাবার  যেমন ডিম্ ,দুধ,মাছ,মাংস,বাদাম ইত্যাদি খাবার দৈনন্দিন  খাওয়া প্রয়োজন। 

ভিটামিন ডি  

ভিটামিন ডি র অভাবে অনেক সময় থাইরয়েড দেখা দেয়। সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সেইজন্য  ৩০ মিনিট রোদ্রে থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও ভিডামিন ডি  যুক্ত খাবার যেমন - স্যালমন, মেকারেল ,কমলা লেবুর রস ইত্যাদি খাওয়া উচিৎ।      

                                                                                                                  ধন্যবাদ। 







TAGG-health




Post a Comment (0)
Previous Post Next Post