মাত্র ১ লক্ষ টাকা থাকলেই এই লাভজনক ব্যবসা গুলি করতে পারবেন।Profitable business.



ভারতবর্ষে ১ লক্ষ টাকার ব্যবসা করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। বর্তমান সময়ে চাকরির যা পরিস্থিতি এতে নিজের একটি ব্যবসা থাকলে বেকার হয়ে ঘুরতে হয় না। সেই ব্যবসা হয় যদি কম বিনিয়োগে তাহলে তো বলার ভাষায় নেই। 

সেক্ষেত্রে ,আমাদের একটা ছোটোখাটো ব্যবসা শুরু করা টা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হবে। আজ আমি আপনাদের ১ লক্ষ টাকার মধ্যে বেশ কিছু ব্যবসার আইডিয়া দিতে চলেছি। যার মধ্যে আছে কিছু বাড়িতে বসে ব্যবসা করার আইডিয়া , কিছু অনলাইন করার আর  কিছু রাস্তার  ধরে ব্যবসা করার আইডিয়া। দেখে নেওয়া যাক লাভজনক ব্যবসা  গুলি-


১) ফুড ডেলিভারি ব্যবসা -

বর্তমান সময়ে এই বেস্ততার যুগে খাবার তৈরী করে যদি গ্রাহক দের  ডেলিভারি করেন ,এটি হতে পারে আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে বেশ কিছু জিনিস মাথায় যাখতে হবে। প্রথমেই আপনাকে নিজের ফুড ডেলিভারির একটি ভিসিটর কার্ড বানাতে হবে। এবং  সেটি অফিস, কলেজ, বিশ্বাবিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান এর বাইরে ভালো করে বিলি করতে হবে । 



ধীরে ধীরে যখন আপনার অর্ডার আস্তে শুরু হবে ,তখন আপনি ওদের সাথে মাসিক চুক্তি তে অর্ডার ধরে নিন। এই ব্যবসায় লসের পরিমান একদমই নেই কারণ আপনি আগে অর্ডার নেবেন তারপরে খাবার তৈরী  করে ডেলিভারি করবেন। এই বেবসা করতে হলে যা যা প্রয়োজনীয় -

* আপনার ফুড ডেলিভারি কোম্পানির প্রচার। 

* রান্না করার সরঞ্জাম। 

* ডেলিভারি করার জন্য একটি কর্মী। 

বর্তমান সময়ে জনবসতি এলাকা গুলি তে ফুড ডেলিভারি ব্যবসা তীর ভালো চাহিদা আছে। এই ব্রেবসা করে অনেক বেকার যুবক যুবতী লেভার মুখ দেখছেন। 

২) টোটোর চার্জিং পয়েন্ট -

 বর্তমান সময়ে টোটো গাড়ির চাহিদা অনেক বেড়েছে।ছোট খাটো শহরাঞ্চল গুলিতে আমরা চোখ ফেললেই অলিতে গলিতে টোটো গাড়ি দেখতে পাই। এই টোটো গাড়ি গুলি চালানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে চার্জার প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একটি চার্জিং পয়েন্ট খুলতে পারেন এই গাড়ি গুলি চার্জ দেওয়ার জন্য তাহলে হতে পারে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা । তবে এই ব্যবসা টি করতে হলে আপনাকে বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে পারমিশন নিতে হবে। 

এর সাথে আপনি পুরোনো টোটো কিনে স্টাফ রেখে চালাতে পারেন দৈনিক চুক্তিতে। এই ব্যবসা  করে আপনি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা সহজেই উপার্জন করতে পারবেন। 


৩) কফি শপ -

এই বেস্ততার যুগে সারাদিন খাটা খাটনির পরে মানুষ একটু স্বস্তি খুঁজে এক কাপ কফি তে চুমুক দিয়ে। আপনি যদি এই সুযোগ টি কাজে লাগিয়ে এই ব্যবসা টি করতে পারেন তা হবে লাভজনক।ছোটোখাটো শহরগুলি তে কফিশ খুব কমই  রয়েছে। 



 এই ব্যবসা  করতে হলে আপনাকে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে  হবে। আপনাকে একটি ভালো জায়গা খুঁজতে হবে যেখানে যুবক যুবতীরা সজজেই যেতে পারে।সমস্ত শ্রেণীর লোকএর যেন যাতায়াত থাকে  সাথে সাথে একটি দক্ষ সেফ এর প্রয়োজন আছে। 


৪) বইয়ের স্টল -

ভারতবর্ষে বইয়ের ব্যবসা একটিই লাভজনক ব্যবসা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে বিভিন্নই বই পড়তে ভালোবাসি। তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য একটি বইয়ের ষ্টল খুলতে পারেন।

 আপনি যদি ভেবে থাকেন ১ লক্ষ টাকার মধ্যে ব্যবসা করবেন  সেক্ষেত্রে আপনি ভিন্ন মানের বই আনুন ,যেমন- গল্পের বই ,উপপন্নাস , এডুকেশনাল বই ও সাথে সাথে স্টেশনারি জিনিসপত্র রাখতে পারেন। আপনাকে বলে রাখি এ বেবসা করতে পারলে কমিশন এর পরিমান অনেক বেশি থাকে। এই ব্যবসা  করে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা অনায়েসেই কমাতে পারবেন। 


৫) গিফ্টের দোকান - 

বিয়ে বাড়ি, জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠান বাড়িতে প্রতিনিয়ত আমাদের গিফ্টের এর প্রয়োজন হয়েই থাকে। আপনি যদি বাজারের মধ্যে একটি গিফ্টের দোকান খুলতে পারেন তা হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা।



এই ব্যবসা  করতে হলে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে গিফ্ট গুলির দাম যেন মানুষের কেনার সামর্থের মধ্যে থাকে। আপনার কাছে যদি ১ লক্ষ টাকা থাকে সহজেই এই ব্যবসা টি করতে পারবেন। আপনি জেনে খুশি হবেন গিফ্টের দোকানের পণ্য গুলি অধিকাংশই ৫০ শতাংশ লাভ থাকে। এই ব্যবসা টি করে আপনি সহজেই মাসিক ৩০ থেকে  ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 


৬) দুধের ফার্মিং -

দৈনন্দিন জীবনে দুধ একটি মূল্যবান জিনিস। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে দুধ খায়। এছাড়াও মিষ্টির দোকানে যাবতীয় জিনিস এই দুধ দিয়ে তৈরী হয়।সেক্ষেত্রে দুধের চাহিদা বেড়েই চলেছে। আপনি এই সুযোগ টি কাজে লাগিয়ে একটি দুধের ফার্মিং করতে পারেন। 

আপনার কাছে যদি ১ লক্ষ টাকা থেকে থাকে বেশ কিছু গরু অথবা ছাগল কিনে এই ব্যবসাটি করতে পারেন।এই ব্যবসা টি করতে হলে বেশ কিছু বেপার আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। গ্রাহকদের ভালো মাপের দুধ ডেলিভারি করতে হবে এবং আপনাকে খামার দেখাশোনা  ও দুধ ডেলিভারি করার জন্য একটি কর্মী রাখতে হবে। এই বেবসা করে আপনি মাসের ৩০ হাজার টাকা সহজেই আয় করতে পারবেন। 


৭) তথ্যমিত্র কেন্দ্র ও মোবাইল রিচার্জ -

বর্তমান  সময়ে সমস্ত অফিসিয়ালি কাজ সবকিছুই এখন অনলাইন এ হয়। চাকরির ফর্ম ফিল আপ , ব্যাঙ্ক এ টাকা ট্রান্সফার , কলেজের  ভর্তি  ও যাবতীয় কাজ তথ্যমিত্র কেন্দ্রে করা হয়। 

সাথে সাথে আপনি মোবাইল রিচার্জ ও করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনি কিছু কমিশন পাবেন কোম্পানি গুলি থেকে। এই ব্যবসা টি করতে হলে আপনাকে একটি দোকান খুলতে হবে এবং একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেক্শন নিতে হবে। এই বেবসা করে আপনি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা সহজেই উপার্জন করতে পারবেন। 

৮) ফাস্ট ফুডের বেবসা -

আধুনিক যুগে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন দেশি-বিদেশী  খাবার খেতে ভালোবাসে। আপনি কাছে যদি  ১ লক্ষ টাকা পুঁজি  থাকে ,সেক্ষেত্রে আপনি রাস্তার ধরে একটি ফাস্ট ফুড এর ষ্টল দিতে পারেন। তবে এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে একটি দক্ষ  সেফ (রাঁধুনি) আন্তে হবে। 



এখানে আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে খাবার এর স্বাদ যেন ভালো হয়। এবং শুরু করার সময় চেষ্টা করবেন অল্প লাভে গ্রাহক দের পরিষেবা দিতে। এই ব্যবসা  করে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা  লাভ করতে পারেন। 


 এছাড়াও ১ লক্ষ টাকায় একাধিক ব্যবসা রয়েছে  যা আপনি বিশেষজ্ঞদের মোট নিয়ে করতে পারেন। ধন্যবাদ। 





TAGG- business idea 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post